ঝালকাঠি প্রতিবেদক ॥ ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার ৯ জন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শ্রান্তি বিনোদন ভাতার নামে সরকারের চার লাখ ২৩ হাজার ৬৭০ টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নিয়ে শুধু শোকজ করে দায়িত্ব শেষ করেছেন। জানা গেছে এ অনিয়ম সংক্রান্ত সকল কাগজপত্র শিক্ষা ও হিসাব রক্ষণ অফিস থেকে গায়েব করে ফেলা হয়েছে। তবে ওই শিক্ষকদের ব্যাংক হিসাবে এ আত্মসাতের প্রমান রয়ে গেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে কাঠালিয়ার ১৮নং উত্তর আউরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মেহেদি হাসান, ৫৯নং বাশঁবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোঃ মিজানুর রহমান, ৩০নং মধ্যআউরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জেসমিন আক্তার মুকুল, ১২নং ছিটকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খাদিজা আক্তার, ৪০ নং আউরা-জয়খালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অজিত কুমার নাথ, ১২৮ নং চেচরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সেলিনা খানম, ১০ নং পশ্চিম মহিষকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনিল কৃষ্ণ দাস, ১১৭ নং ছোনাউঠা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মুকুল আক্তার ও ১১ নং বাশঁবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শাহারুম মিয়া, শ্রান্তি বিনোদন ভাতার নামে অবৈধভাবে সরকারি ৪,২৩,৬৭০/- টাকা উঠিয়ে আত্মসাৎ করেন। উল্লেখ্য যে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিয়মানুযায়ী ৩ বছরে একবার ১৫ দিন ছুটি ভোগকালীন সময়ে মূলবেতনের সমপরিমান টাকা শ্রান্তি বিনোদন ভাতা হিসেবে উত্তোলণ করতে পারবেন। উল্লেখিত শিক্ষকরা ২০১৯ সালের আগষ্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে কেহ ২ বার, কেহ ৩ তিনবার করে শ্রান্তি বিনোদন ভাতা উত্তোলণ করে নিয়েছেন। পরবর্তীতে তাঁরা অনিয়মের প্রমান লোপাট করতে শিক্ষা অফিস ও হিসাব রক্ষণ অফিস থেকে এ সংক্রান্ত সকল কাগজপত্র গায়েব করে ফেলেন। পরে তাদের ব্যাংক হিসাব বিবরণীর মাধ্যমে এ অর্থ আত্মসাৎ এর প্রমান মেলায় গত ১৬ই জুন ২০২০ উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ নাছির উদ্দিন খলিফা শেষ কার্য দিবসে (বদলি হওয়ার কারণে) ওই শিক্ষকদের কারণ দর্শানো নোটিশ দেন। পরে অদৃশ কারনে আর কোনো অগ্রগতি নেই অনিয়মের তদন্তে। এ বিষয় কাঠালিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মোজাম্মেল বলেন, “অভিযুক্ত শিক্ষকরা কারণ দর্শানো নোটিশের সন্তোষ জনক জবাব দিতে পারেননি। তাই অল্প সময়ের মধ্যে আত্মসাৎকৃত সরকারি টাকা কোষাগারে জমা দেয়ার জন্য নোটিশ দেয়া হবে এবং পরবর্তীতে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করা হবে”। এ ব্যাপারে ঝালকাঠি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মোস্তফা কামালকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। করোনার কারণে তদন্তে বিলম্ব হচ্ছে। তবে তদন্ত রিপোর্ট পেলে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে”।
Leave a Reply